করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ দুর্দিনে নবীনগরের থানার কান্দি গ্রামে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ও ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড !

0
1077

করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতায় নবীনগরের থানার কান্দি গ্রামে ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংসতা ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ।  চ্যানেল প্রবাহ ডেস্ক রিপোর্ট :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন যুগ ধরে চলে আসছে হানাহানি , মারামারি ও হামলা – মামলা। যেখানে পুরো দেশ মরণঘাতী করোনা ভাইরাস রোধকল্পে দল মতের উর্ধ্বে গিয়ে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ ক্রান্তিকাল সমস্ত বিশ্বজুড়ে প্রত্যেক দেশেই মানুষ লাশ নিয়ে কাঁদছে আর সেখানে থানাকান্দি গ্রামের মানুষ আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র শুরু করেছে ইতিহাসের নৃশংসতম নিকৃষ্ট বর্বর হামলা।

কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লু রহমান ও এলাকার সর্দার আবু কাউছার মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ইতোমধ্যে উভ’য়পক্ষের মধ্যে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বহু হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
তার‌ই জের ধরে আবার ঝগড়া বাঁধলে

একজনের পা কেটে সে-ই পা হাতে নিয়ে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে মিছিল ও আনন্দ উল্লাস করা হয়। জনগণের প্রতিনিধি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান যেখানে জাতির দুর্দিনে পাশে থাকার কথা সেখানে চেয়ারম্যান নিজেই ঝগড়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে। উল্লেখ্য চেয়ারম্যান হিসেবে জিল্লুর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই পুরো কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে শুরু হয়েছে খুন,গুম, মার্ডার মারামারি হামলা মামলা এমনই নৃশংসতা।

যখন মহামারী সংঘঠিত হয় তখনই থানার কান্দি
গ্ৰামে নিষ্ঠুর ভাবে হামলা করে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে চেয়ারম্যানের আস্কারায়। হিংস্র ও দৈস্যিপনা কিছুতেই থামছে না।
পা কেটে নেয়ার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।আজ আবার শুরু হয় সংঘর্ষ, এতে প্রায় ১২/১৩ জনের মত আহত হয়। তাঁদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২০/২২ জন কে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ,এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।